রবিবার, ১৪ জুন, ২০১৫

খেরোখাতার খেরো-২

১.
গত বৃহস্পতিবার ১১ জুন ছিল একটা চ্যালেঞ্জিং দিন। আব্বু ঢাকা যাওয়ায় আমাকে সকালেই তেরেসা ডটকম এ যেতে হয়। মৌসুমি আপা থাকায় কিছুটা রক্ষা, নয়তো আকাশ ভেঙে পড়তো মাথায়। তবুও বৃষ্টি আর লোড শেডিং বিকাল পর্যন্ত বিড়ম্বনা করেছে।
বিকালে মাথা ব্যথ্যা নিয়েই গিয়েছি। সন্ধ্যা পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। এরপর দুইজন কলেজ ভর্তি আবেদনপ্রার্থী ও অভিভাবক এসে মাথা গরম করে দিল। নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে একটু অভ্রদ্রতাও করে ফেললাম!
আমার বোকামীর জন্য মুরাদ স্যারের কিছু সময় নষ্ট হলো। স্যার তাড়াতাড়ি একটা আবেদনপত্র লেখিয়ে নিয়ে চলে গেলেন। মোয়াজ্জেম আংকেল একটা কাজ দিয়ে আরো দেরি করিয়ে দিল। সাড়ে এগারোটায় আব্বু ঢাকা থেকে ততক্ষণে ফিরে এসেছে। আমার কাহিল অবস্থা দেখে রাগ করে মোয়াজ্জেম আংকেলকে দিল কয়েকটা কড়া কথা শুনিয়ে। এর মধ্যে এক বড়ভাই একটা সেভেন আপ পান করিয়েছে, আর আমি কিছুটা সতেজ তখন।
এক কাপ চা পান করারও সুযোগ হয় নাই সেদিন। তবে হ্যাঁ, রাতে রুটি খেয়ে বিছানায় শুয়ে ফেসবুকিং করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি, সেটা সকালে টের পেলাম। ঘুম খুব ভালো হয়েছে। সারাদিনের পর একটা দামী উপহার ছিল। 

২.
সকল কাজ আর ব্যস্ততার ভিড়ে আমার বাংলালিংকের ৮০ মেগাবাইট কেনা ডাটার অব্যবহৃত অবস্থায় মেয়াদ চলে গেছে। তবে আপসোসটা পঞ্চাশ ভাগ, কারণ বাংলালিংক প্যাকেজ কিনলে শতভাগ ফ্রি ডাটা দেয়। সেই ফ্রি ডাটাটাই আগের দিন ব্যবহার করতে পেরেছি। যার শতভাগ ফেসবুকেই ব্যয় হয়েছে।
ফেসবুক আসক্তি আমাদেরকে অন্যান্য ওয়েব থেকে দূরে রাখছে। 


৩.
গতকাল শুক্রবার ঘুমিয়েই চলে গেছে। আর পত্রিকা পড়ে। রাত নয়টায় তেরেসা ডটকমে গিয়েছি। একটা বিজ্ঞাপন স্টীকার বানানোর চেষ্টা করেছি। প্রিন্ট করে দেখি এক জায়গায় ডিফল্ট। আজকে আবার এডিট করতে হবে।
আব্বু তবুও সেটা দেখে খুশি হলো। বুঝলাম না। হয়তো ধরতে পারে নাই।
আব্বু আর আমি সানোয়ার হোটেল এ রুটি খেলাম। আবুল কাকার চাও পান করা হলো। তারপর বাসায় ফিরে এলাম।


৪.
বৃষ্টি নিয়ে কিছু একটা লেখার কত যে চেষ্টা করলাম, পারলাম না। বৃষ্টির শব্দ কান পেতে ভালো করে শুনলাম। পানির ওপর বৃষ্টি কিভাবে পড়ে দেখলাম। বৃষ্টিস্নাত গাছের পাতার গন্ধ শুকলাম। গাছ নাড়িয়ে পাতায় জমা পানি ঝরালাম। কদমগাছ, বেলী ফুলের গাছ একদম ভিজে চুপচুপ হয়ে যেতে দেখলাম। আর কানায় কানায় পুকুর, মাঠ রাস্তা উঠোন পানিতে ভরে যেতে দেখলাম, কিন্তু কোনকিছুই লেখা হয়ে বেরুল না।
সে আমার কর্ম নয় মনে হচ্ছে। 


পরিশিষ্ট: একজন পরম বন্ধুর কাছে উপদেশ চাইলে সে উপদেশ দিল, " যেই কাজটা করবেন মন দিয়া করবেন। মনের মধ্যে ইচ্ছা থাকতে হবে।"
তো উপদেশটা অভ্যাস করা শুরু করে দিলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন