রবিবার, ১৪ জুন, ২০১৫

খেরোখাতার খেরো-১

১.
বহুদিন পর নানীর হাতের রান্না করা পোলাও আর মুরগির তরকারি খেলাম। সেই স্বাদ সেই গন্ধ। আহহ... নানী যা রান্না করে সব অমৃত।
এমনকি ডিম ভাজা আর ডাউলও নানীর হাতে পায় আলাদা বিশেষত্ব! রহস্যটা কি? আগে তো ভাবিনি, জানার চেষ্টাও করিনি। আর এখন তো নিজের মধ্যে লালন করছি ঘরকুনো স্বভাব। কোথাও যেতে মন চায় না। অথচ নানীর রান্নাঘর মাত্র দুই-তিন মিনিটের দূরত্ব।

যাই হোক, আম্মা নাকি নানীকে বলে এসেছে, নানী যা ই রান্না করুক না কেন আমাকে যেন একটু দেয়।
আমি আবার আম্মারে বলে দিয়েছি, নানীর কাছে রান্না শিখে আসো!!
পরিশিষ্ট: কয়েকদিন যাবৎ তৃপ্তি নিয়ে খেতে পারছি না। কারণ আমার পারফেক্ট ছাড়া ভালো লাগেনা। আম্মার রান্নায় কি যেন ঘাটতি পড়ে যাচ্ছে। পড়তে খারাপ লাগলেও ইহা সত্য। আরও বেশি কঠিন সত্য হলো অসুস্থতা নিয়ে খাওয়া একটু খারাপই লাগে।

২.
কয়েকদিন ধরে সেই বিড়ালটি, এর আগে ছবি পোস্ট করেছিলাম, সবার মনে আছে নিশ্চয়, আমার ঘরের সিঁড়ির উপর ঘুমায়। সে বর্তমানে একা। অন্যান্য বিড়ালের চেয়ে কিউট আর খুব বেশি শান্তশিষ্ট।

এই কয়েক মাস আগে তিনটা বাচ্চা জন্ম দিল। আমাদের বাসায় বড় হলো। বাচ্চারা বড় হয়ে যে যার মত চলে গেছে! বড়ই বিচিত্র বিড়ালের জীবন।
 জামালপুর, ফুলবাড়িয়া, জুন 10, 2015

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন